শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:০১ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট::রমজান মাসকে সামনে রেখে বাজারে এখনই পণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেছে সিন্ডিকেট। রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে কিছু পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করার চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো মোড়ে টিসিবির ফ্যামিলি স্মার্ট কার্ড বিতরণ ও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্যের বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্ধোধনে এ তথ্য জানান তিনি।
রোজাকে সামনে রেখে ছোলা, ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, খেজুর, চিনির শুল্ক কমানো হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুল্ক আমরা কমাতে পারি না। আমরা প্রস্তাব করতে পারি। রমজানের প্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে শুল্ক কমানোর জন্য আমরা প্রস্তাব করার চিন্তা করছি।
বাজারের আলুর দাম কমেছে দাবি করে টিপু মুনশি বলেন, রাজধানীতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে। মফস্বলে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকায় দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু বাজারে এসেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে আলুর দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
খেজুর আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে, এ নিয়ে আমদানিকারকরাও প্রশ্ন তুলেছিল এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা শুল্ক কমাতে পারি না। সে জন্য আমরা এনবিআরের কাছে আবেদন জানাতে পারি। সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আসন্ন মাহে রমজানকে সামনে রেখে যেন তারা শুল্ক একটু কমাতে পারে।
রাজনীতির বাইরে আপনাকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয় এতে আপনি খুশি কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটো প্রেক্ষাপট, এই অঞ্চলেই আমি ৫৫ বছর ধরে রাজনীতি করে গেছি, মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি। এটা আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার। যখন আমি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করি তখন রাজনীতিটাই প্রধান হয়।
মন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি ব্যবসায়ে যখন আমি এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলাম সে হিসেবে আমি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। রাজনীতি আর ব্যবসা সাংঘর্ষিক না সহযোগী।
আগামী জুনের মধ্যে দেশের এক কোটি মানুষের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শেষ হবে। এ ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ লাখ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের ১ কোটি মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না করে, তাই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
ট্রাকের পণ্য না পেয়ে মানুষ ফিরে যাচ্ছে এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে আমাদের কিছু সীমাবন্ধতা আছে। যাদের কার্ড আছে তারা তো পাচ্ছেন। একটা ট্রাক থেকে ৩০০ জনকে পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে মানুষ এর থেকেও বেশি থাকে। তারপরও ট্রাকের সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মঞ্জুর।